"বডিগার্ড" গল্প



লেখক: রিয়াদ আলম

এক

জঙ্গলের মধ্য দিয়ে অন্ধকারের মধ্যেই দৌড়ে পালাচ্ছে তিথি,সাথে অপরিচিত একটি লোকএই পরিস্থিতিতে এই অপরিচিত লোকের উপরই সে ভরসা করে তার সাথেই পালিয়ে যাচ্ছেহালকা চাঁদের আলো যখন ছেলেটির মুখের উপর পড়ল,তখনই তিথি থেমে যায়রিয়াদ!রিয়াদ এখানে কেন?আর সে জানলই বা কিভাবে যে তিথি কিডন্যাপ হয়েছে


-
কি হল থেমে গেলেন কেন?
-
আপনি!আপনি এখানে কিভাবে?আর জানলেনই বা কিভাবে আমি কিডন্যাপ হয়েছি?
-
সেটা এখন না জানলেও চলবেআমাদের যত শিঘ্রই
সম্ভব এখান থেকে যেতে হবে
-
কিন্তু!আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে কেন?
-
দেখুন আপনি সব জানতে পারবেনকিন্তু আমাদের এখনই আপনাদের বাসায় অথবা নিরাপদ কোনো স্থানে যেতে হবে
এই বলে রিয়াদ তিথির হাত ধরে আবার দৌড়তে শুরু করেতারা জঙ্গল পাড় হয়ে হাইওয়ে রাস্তায় এসে পড়েসেখানে গিয়ে তিথি দেখতে পায় সেখানে গাড়ি রাখা আছে
রিয়াদ তাকে গাড়িতে উঠে বসতে বলে এবং সে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি চালানো শুরু করে
কিন্তু তিথি কিছুই বুঝতে পারছে নাদুপুর থেকে এখন পর্যন্ত সবকিছুই তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছেযে রিয়াদকে তার সবসময় শান্ত-গম্ভীর,একাকী মনে হত এমনকি কোন জামেলা হলে সেখান থেকে রিয়াদকে সবসময় দূরে দূরে থাকতে দেখত সেই কিনা তাকে কিডন্যাপারদের হাত থেকে উদ্ধার করছে

দুই


তিথি অনার্স ৩য়বর্ষে একাউন্টিং এর উপর পড়ছেতার বাবা আফসার আহমেদ এলাকার কমিশনারবর্তমানে অবশ্য নির্বাচন চলছে
- মাস পূর্বে তাদের পাশের বাড়িতে ব্যাচেলর হিসেবে রিয়াদ বাসা ভাড়া নেয়সাধারনত এই এলাকায় ব্যাচেলরদের ভাড়া দেয় নারিয়াদকে কেন ভাড়া দিল তাও আবার পারিবারিক ফ্ল্যাট বাড়িতে সেটা তিথি বুঝে উঠতে পারে নিরিয়াদকে সে প্রায় সময়ই আসা-যাওয়ার পথে দেখতে পেতএমনকি তার বাবা আফসার আহমেদ এর সাথে মাঝেমধ্যে কথা হতে দেখেছে সে
প্রথম প্রথম মনে হত লোকটা তার পিছু পিছু তাকে ফ্লো করেকিন্তু সে যখন তাকে দেখত মনে হত লোকটা তাকে দেখেওনি আর সে কোন কাজ নিয়ে খুব চিন্তিততাই পরবর্তীতে সে সন্দেহ করে নি, কারন তাকে রিয়াদ কখনো ডিস্টার্ব বা তার প্রতি আগ্রহী হওয়ার মত কিছু করতে দেখেনি
একদিন ভার্সিটি থেকে আসার পথে রাস্তায় কি নিয়ে যেন মারামারি শুরু হয় এবং সে ঠিক পয়েন্টেই আটকে পড়ে হঠাৎ কোথা থেকে যেন রিয়াদ এসে তাকে বলে, আপনি আমার সাথে আসেন নয়তো বিপদে পড়তে পারেন এবং তাকে খুব সিরিয়াস মনে হচ্ছিল যেন সে খুব ভয় পাচ্ছেতিথির নিজেরই তখন হাসি পাচ্ছিল যে জায়গায় সে মেয়ে হয়েও এতটা ভয় পাচ্ছে না সেখানে এইরকম সুঠাম দেহের পুরুষ ভয়ে আতংকিত
সেদিনই সে রিয়াদের নাম জানতে পারে এর পর থেকে প্রায় সময়ই রিয়াদের সাথে তার দেখা হত এবং একদিন তার বাসায় পর্যন্ত রিয়াদকে তার বাবার সাথে কি নিয়ে যেন কথা বলতে দেখেছে তবে সে খুব একটা পাত্তা দেয় নিভেবেছে তার বাবা যেহেতু কমিশনার কোন দরকারে আসতেই পারে

তিন

আজ সকালে ভার্সিটি শেষে দেখে তার গাড়ি আসে নি,ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে দেখে নাম্বার বন্ধকিছুক্ষন অপেক্ষা করে সে যখন রিক্সা খুজতে যায় তখনই একটা মাইক্রো এসে তাকে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়তারপর সে আর কিছু বলতে পারে না
,
যখন জ্ঞান ফিরে দেখে সে একটা অন্ধকার ঘরে পড়ে আছেঅবশ্য তার হাত-পা বাধা নেইসে চিৎকার করে উঠে,
-
কেও আছেন?
ভিতর থেকে কোনো সাড়া আসে না
সে আবার চিৎকার করে উঠেতখন দরজা খুলে একজন মুখোশ পড়া ব্যাক্তি ঢুকে
-
এত চিৎকার করছ কেন?এখানে কেও তোমার কথা শুনবেনা
-
আমাকে এখানে আনলেন কেন?
-
তুমি বুঝতে পারছো না,তোমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে (হেসে)
-
কিন্তু কেন?
-
তোমার বাবাকে কমিশনার পদ থেকে সরে দাড়াতে হবে নয়তো তোমার উপর কি হবে বুঝতেই পারছো
-
তিথি কিছু বলল না,সে ভয়ে এইমুহুর্তে আতংকিত হয়ে পড়ে
লোকটা যেই মাত্র ঘর থেকে বের হতে যাবে তখনই মনে হল তাকে কেও ঘুষি মেরে ফেলে দিয়েছেঘরের মধ্যে একজন আগুন্তক এসে লোকটাকে মেরে দুর্বল করে বেধে ফেলে
আর তিথিকে নিয়ে জঙ্গলের রাস্তা ধরে দৌড়ানো শুরু করেঅন্ধকার ছিল তাই তিথি তাকে চিনতে পারে নিশুধু বুঝতে পেরেছে সে তার থেকে দু-তিন বছরের পার্থক্য হবে

চার

আফসার সাহেব চিন্তিত অবস্থায় বাসার মধ্যে হেটে বেড়াচ্ছেনদুপুরে হঠাৎ একজন ফোন করে বলল,
তার মেয়েকে নাকি তারা কিডন্যাপ করেছে এবং সে যদি এবার নির্বাচন পদ থেকে সড়ে না দাড়ায় তাহলে তিথিকে মেরে ফেলবে উনার একমাত্র মেয়ে তিথিস্ত্রী মারা যাবার পর থেকে তিনি একাই মেয়েকে বড় করেছেন মেয়েকে কোন কিছুর অভাব দেখতে দেন নিতেমন শাষন করেন নি বলে মেয়ে হয়েছে স্বাধীন,যখন যা মন চায় করে বসেতিনি রাজনীতি করেন এবং চারপাশে উনার শত্রুর অভাব নেই উনাকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম হুমকির সম্মুখে পড়তে হয়কিছুদিন আগে তিথিকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে
কিন্তু তিথিকে তিনি এই ব্যাপারে কিছু বলেন নি আবার তিথিকে বাহিরে বের হওয়া থেকেও আটকাতে পারেন নিতাই মেয়েকে রক্ষা করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই করে রেখেছেন এই মুহুর্তে তিনি খুবই ভয় পাচ্ছেনতিনি তার বন্ধু মুহাম্মদ নূরকে (পুলিশ কমিশনার)কে ফোন দেয়
-
কিরে, কি ব্যবস্থা করলি?
-
আমি আমার সর্বাত্মক চেষ্টা করছিকিন্তু কিডন্যাপাররা মনে হয় খুব কেয়ারফুল তাই কিছু বের করতে পারছি না
-
আমি কিছু শুনতে চাই নাআমি আমার মেয়েকে সুস্থ অবস্থায় পেতে চাই
-
দেখ, তিথিকে আমি আমার মেয়ের মতই দেখিআমি চেষ্টা করছি তার যেন কোন ক্ষতি না হয়
-
তোর রাখা বডিগার্ডেরতো কোন খবরই নেইফোনটা পর্যন্ত ধরছে না
-
বুঝতে পারছি নাসে আমাদের ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ববান একজন অফিসারআর এজন্যই তো তোর মেয়েকে রক্ষা করার দায়িত্ব তাকে দিয়েছিলামতুই কিছুটা শান্ত আমি দেখছি
-
কি করে শান্ত হবকাল যদি আমি কমিশনার পদে নমিনেশন পত্র জমা দেই তাহলে তারা নাকি আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে
এই সময় বাসার কলিংবেল বেজে ওঠেবাসার কাজের বুয়া দরজা খুলে দেয়তিথি এবং রিয়াদ একসাথে ভিতরে ঢুকেবাবাকে দেখতে পেয়ে তিথি দৌড়ে এসে আফসার সাহেবকে জড়িয়ে ধরে
-
মা,তোর কিছু হয়নি তো
-
না বাবা
তিনি রিয়াদকে দেখে বসতে বললেনতিথি কিছুটা অবাক হয়ে যায়বাবা এমন ভাবে বলল যেন রিয়াদ যে তার মেয়েক উদ্ধার করে আনবে এটা তিনি জানতেনঘোর কাটিয়ে সে বলল,
-
বাবা উনি আমাকে কিডন্যাপার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন
-
হুম,বুঝতে পেরেছিআচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে একটু রেষ্ট নে, অনেক ক্লান্ত লাগছে
রিয়াদকে সামনে রেখে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে তার রুমে ঢুকে ফ্রেশ হতে যায়
-
তুমি ফোন ধরছিলে না কেন?
-
সরি স্যার,ঐখানে গিয়ে তাদের সাথে হাতাহাতির সময় ফোনটা পড়ে যায়আর সময় পায়নি ফোন তোলার জন্য
-
তাহলে তুমি নূরকে ফোন দিয়ে কিভাবে জানালে যে তিথি কিডন্যাপ হয়েছে
-
অাগে স্যারকে আমার ফোন করতে হবেকারন অপরাধিরা নিশ্চয়ই ওখান থেকে খুব শিঘ্রই চলে যাবেএই মুহুর্তে পুলিশ গেলে তাদের ধরা সম্ভব হবে
-
ঠিক আছে করো
রিয়াদ পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে তিথিকে যেখানে আটকে রেখেছিল তার ঠিকানা বলে দেয় যেন তারা এখনই সেখানে এট্যাক করতে পারেতারপর আফসার সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলে,
-
আমি যখন উনার ভার্সিটির সামনে পাহারা দিচ্ছিলামউনার ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আপনার ড্রাইভার যায় নিতখন দেখলাম তিনি সামনের রাস্তা দিয়ে অগ্রসর হচ্ছেনহঠাৎ একটা মাইক্রো উনাকে তুলে নিলআমি কিছুটা দূরে ছিলাম তাই কিছু করতে না পেরে তাদের পিছু নেই তখনই আমি চাচ্চুকে জানিয়ে দেই
-
চাচ্চু মানে!
-
জ্বী,মানে!আসলে নূর সাহেব আমার চাচা হন
-
আপন!
-
জ্বী
-
মাই গড!আমাকে নূর জানায়ওনি যে তুমি তার ভাতিজা
-
জ্বী মানে!
-
আচ্ছা তুমি যাও এখন গিয়ে বিশ্রাম নাওআমি নূরের সাথে কথা বলে নিব
রিয়াদ তিথির বাসা থেকে চলে আসে

তিথি রাতের খাবার শেষে, বিছানায় শুয়ে আজ সারাদিনের ঘটনাগুলো নিয়ে ভাবছেতার সাথে আজ কতকিছু ঘটে গেল যা সে কখনো ভাবতেও পারেনিসেই সাথে এত তারাতারি রিয়াদ তাকে উদ্ধার করেছে সেটাও তার কাছে অকল্পনীয় মনে হচ্ছেরিয়াদের কথা মনে হতে তার মুখে কিছুটা মুচকি হাসি হেসে উঠেআজকে ঐখান থেকে বের হওয়ার সময় সে দেখেছিল জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে কিডন্যাপাররা পড়ে কাতরাচ্ছে,রিয়াদ যে তাদের এই অবস্থা করেছে সে তখনই বুঝতে পেরেছেঅথচ সে রিয়াদকে দেখে এতদিন মনে করেছে রিয়াদ খুব একটা সাহসী নয়,ভীতু প্রকৃতিরআবার আজ তার বাবা আর রিয়াদের আচরন তাকে কিছুটা ভাবাচ্ছেও
তিথির খুব মনে চাইছে রিয়াদকে ফোন করে তার সাথে কথা বলার জন্যকিন্তু তার কাছে রিয়াদের ফোন নাম্বার নেই
সে রিয়াদের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে

পাঁচ
নূর মেহাম্মদ যখন তিথিকে রক্ষা করার দায়িত্ব দেয়ার জন্য কিছু পুলিশ অফিসারকে তার ছবি দেখাচ্ছিলেনসেখানে রিয়াদও উপস্থিত ছিলছবিটা দেখে সে তখনি এই দায়িত্ব তার উপর দেয়ার জন্য অনুরোধ করে নূর সাহেব কিছুটা অবাক হলেও এই সম্পর্কে কিছু বলেন নিতিনি বলে উঠেন,
-
তিথিকে গার্ড দিতে হলে সবসময় তার সেই কর্তব্যের প্রতি মনোযোগী হতে হবেসে কমিশনার অাফসার আহমেদ এর একমাত্র মেয়েআর এই সম্পর্কে তিথি যেন কোনোভাবেই জানতে না পারে যে তার অজান্তে তার জন্য বডিগার্ড রাখা হয়েছে, তাও আবার একজন পুলিশ অফিসার
-
আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব
তিথির দায়িত্ব তখন রিয়াদের উপর দেয়া হয়
রিয়াদ কলেজে পড়ার সময় থেকেই ফেসবুকে গল্প লিখতখুব ভালো না লিখতে না পড়লেও মোটামোটি তার গল্পের চাহিদা ভালোই ছিল
হঠাৎ একদিন তাকে 'আফসারা তিথি' নামে এক আইডি থেকে নক করে,
-
আপনি কি সবসময় হ্যাপি এন্ডিং এর গল্প লিখেন নাকি?
-
জ্বী,হ্যাপি এন্ডিং দিতে আমার ভালো লাগে
-
হু!ছোট ছোট কিছু ঘটনার মাধ্যমে গল্প লিখতেও আপনার পছন্দ
-
হ্যা,আপনি বুঝলেন কিভাবে?
-
আমি আপনার গল্প সবসময়ই পড়িআপনার গল্পগুলো পড়তে আমার ভালো লাগেআর সেখান থেকেই কিছু ধারনা করেছি
-
ওহ্, আপনি বুদ্ধিমতী
-
জ্বী, আমি জানি বলতে হবে না
-
হুম
-
আবার পরবর্তী গল্প কখন দিবেন
-
গল্প লিখতে যত সময় লাগবে,তার পর
-
আচ্ছা,গল্প পোস্ট করলে আমাকে মেনশন করবেন প্লিজ
-
ঠিক আছে
তাদের মাঝে এভাবেই কথোপকথন শুরু হয়তিথির আইডিতে তার ছবি দেয়া ছিল,কিন্তু রিয়াদের দেয়া ছিল নাতাই রিয়াদ ছবিটি দেখে তিথিকে চিনতে পারেআর এই জন্যই সে তিথির গার্ডের দায়িত্ব নিজে নিয়েছে
আফসার আহমেদ রিয়াদকে উনাদের বাড়ির পাশের বাসায় থাকার জন্য সব ব্যবস্থা করে দেন
যেহেতু রিয়াদের ছবি তিথি দেখেনি তাই রিয়াদকে তিথি চিনতে পারেনি

ছয়

তিথি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাবার কাছে যায়আফসার আহমেদ তখন সংবাদপত্র পড়ছিলেনতিথিকে দেখে বললেন,
-
ঘুম কেমন হল,মামুনী
-
এইতো বাবা ভালো
-
তুই কি ভার্সিটিতে যাবি
-
কেন?
-
দু-তিন দিন বাসায় রেষ্ট নেতারপর থেকে না হয় যাস
-
ঠিক আছে বাবা
তিথি রিয়াদের সম্পর্কে তার বাবার কাছ থেকে জানতে চাচ্ছেগতকাল রাত্রে সে ফ্রেশ হয়ে ড্রইং রুমে এসে দেখে রিয়াদ চলে গেছেতাই রিয়াদের সাথে আর কথা বলা হয় নিতার মোবাইল নাম্বারও তিথির কাছে নেইকিন্তু সে বাবাকে কথাটা কিভাবে বলবে সেটা বুঝে উঠতে পারছে নাআফসার সাহেব বুঝতে পারলেন তিথি তাকে কিছু বলতে চায়
-
কিছু বলবি মামুনী
-
না মানে বাবা!কাল রাতে উনার সাথে কি কথা হল
-
রিয়াদ!
-
হ্যা
-
এইতো তোকে কিভাবে উদ্ধার করল সে বিষয় নিয়ে
-
তুমি উনাকে চিনতে
-
হ্যা
আফসার সাহেব আর কিছু বললেন নাতিথি নিজেই বলে উঠল
-
উনার মোবাইল নাম্বার কি তোমার কাছে আছে
-
কেন?
-
মানে,উনি এত রিক্স নিয়ে আমাকে উদ্ধার করলেনকিন্তু আমি উনাকে কিছু বলতেও পারলাম না
-
তার মোবাইলতো কালকে তোকে উদ্ধার করতে গিয়ে নাকি হারিয়ে ফেলেছে
-
ওহ্,তাই নাকিআমাকে উদ্ধার করতে গিয়ে উনার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে
আফসার সাহেব বুঝতে পারলেন রিয়াদের প্রতি তিথির মনে কিছু দুর্বলতা সৃষ্টি হয়েছে
-
কিন্তু বাবা,আমি যে কিডন্যাপ হয়েছি তিনি জানলেন কিভাবে?বুঝতে পারছি না
-
রিয়াদ নাকি তোকে কিডন্যাপ হতে দেখেছে,তাই তোর পিছু নিয়েছিল
আফসার সাহেব যদিও সব সত্যি কথাই বলছেনকিন্তু রিয়াদ যে পুলিশ অফিসার এবং তার গার্ড হিসেবে কাজ করছে সেটা তিনি চেপে গেলেন
আর সেই সাথে এটাও বুঝলেন তার মেয়ের দায়িত্ব দেয়ার জন্য একজনকে তিনি পেয়ে গেছেন

পরিশিষ্ট:
আফসার সাহেব রিয়াদকে তিথির পার্মানেন্ট বডিগার্ড করার ব্যবস্থা করে ফেলেছেনরিয়াদ যে তিথির বডিগার্ড হিসেবে ছিল সে বিষয়ে জানার পর তিথি অবাক এবং খুশি দুটোই হয়েছিলতবে তিথি আর রিয়াদের পরিচয় যে আগে থেকেই তা তিথিকে রিয়াদ এখনো বলে নিবিয়ের পরে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য আপাতত সে গোপন রেখে দিয়েছে

(
গল্পটা অনেকদিন ধরেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলগল্পের ফিনিশিং আমি অনেক ভাবে দিয়ে ট্রাই করেছি কিন্তু কোনোটাই মনমত হয় নিতাই এখানেই সমাপ্ত করে দিলামআশা করি ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

Post a Comment

Previous Post Next Post